Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

উপজেলা প্রশাসনের পটভূমি

 

বাংলাদেশ উপজেলা পর্যায় স্থানীয় সরকারের ইতিহাস মোটেও প্রাচীন নহে। ১৯৫৯ সালে মৌলিক গণতন্ত্র প্রবর্তনের পর উপজেলা পর্যায় থানা কাউন্সিল গঠিত হয়। তৎকালীন মহকুমা প্রশাসন পদাধিকার বলে থানা কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান হতেন। থানায় কর্মরত সার্কেল অফিসার উন্নয়ন পদাধিকার বলে ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। উন্নয়ন কাউন্সিল ও টাউন কমিটির চেয়ারম্যানগণ পদাধিকার বলে থানা কাউন্সিল এর সদস্য হতেন। জেলা প্রশাসক কর্তৃক মনোনীত কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্খ্য, মৎস্য ও সমবায় বিভাগের কর্মকর্তারগণ কর্মকর্তা সদস্য ছিলেন। তৎকালীন থানা কাউন্সিলের অন্যতম কাজ ছিল ইউনিয়ন কাউন্সিল ও টাউন কমিটির কাজের তদারকীকরন এবং সমন্বয় সাধন। স্বাধীনতা পরবর্তী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতির ৭নং আদেশ দ্বারা উক্ত থানা কাউন্সিল এর নাম পরিবর্তন করে থানা উন্নয়ন কমিটি গঠন করা হয়। মহকুমা প্রশাসকগণ পদাধিকার বলে চেয়ারম্যান এবং সার্কেল অফিসার (উন্নয়ন) থানা উন্নয়ন কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মহকুমা প্রশাসক থানা উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান থাকলেও তার পক্ষে সভায় অংশ গ্রহণ করা সম্ভব হতোনা বিধায় সার্কেল অফিসার উন্নয়ন প্রায়শঃ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন। পরবর্তীতে ১৯৮২ সালে স্থানীয় সরকার অধ্যাদেশের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয় সরকারেরর কাঠামো গুনগত পরবর্তন ঘটে। থানাকে উপজেলা হিসেবে নামকরন করা হয় এবং প্রতিটি উপজেলায় একটি করে উপজেলা পরিষদ গঠন করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় উপজেলা প্রশাসনের সৃষ্টি।

 

এ উপজেলার নামকরণ সম্পর্কে মতান্তর আছে। বহুল প্রচলিত জনশ্রুতি আছে যে, নবাবী আমলে মুর্শীদাবাদ থেকে নেপথে ঢাকা যাতায়াত কালে নবাব বা তাদের অধীনস্থ কর্মচারী- সৈন্যসামন্ত এখানে তাবু ফেলে বিশ্রাম গ্রহন করত। তাছাড়া কিছু কিছু কর্মচারী খাজনা আদায়ের জন্য এ এলাকায় বসবাস করত। ফলে ধীরে ধীরে জনবসতি বৃদ্ধি পেলে গঞ্জ গড়ে উঠে। নবাবী আমলের স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক এলাকাটির নামকরণ করা হয় নবাবগঞ্জ ।